পৃথিবীতে এখনও অনেক কিছু দেখার রয়েছে, তার কোনও ইয়োত্তা নেই। জ্যোতিষে যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের অনেকেই সকালে উঠে খবরের কাগজে থাকা ভবিষ্যদ্বাণী দেখার অভ্যাস থাকে। সারাদিন কীভাবে কাটবে, গোটা মাস কেমন যাবে, আগামী বছর কেমন কাটবে, তার জানার কৌতূহলের শেষ থাকে না। তবে জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস না করলেও, ভবিষ্যত দেখার জন্য আগ্রহ থাকে সকলেরই।
Maha offers..😱😱😱
Perday 🎁1000+money without investment watch video and play games install apps...💰 Now
তবে এখন যে ভবিষ্যতের কথা বলা হচ্ছে, তা সেই ভবিষ্যত নয়। নবাগত প্রযুক্তির এক ভবিষ্যত চিত্র।
প্রযুক্তিগত ভবিষ্যতের জন্য খুলে দেওয়া হল দুবাইয়ের মিউজিয়াম অউ দ্য ফিউচার। মঙ্গলবার থেকেই বিশ্বের কাছে খুলে দেওয়া হয় এই অভিনব ও আধুনিক মিউজিয়ামের দরজা। মরুরাজ্য়ের রাজা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, সংযুক্ত আরব এমিরেটসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক, সরকারি কর্মকর্তা ও সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতে দুবাইয়ের এই বিশেষ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়।
"পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ভবন" হিসাবে ইতিমধ্যেই তকমা পেয়ে গিয়েছে দুবাইয়ের এই মিউজিয়াম অফ দ্য ফিউচার। জানা গিয়েছে, এই গোটা ভবনটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৯ বছর। ভবনটি দেখে মুগ্ধ হবেন সকলেই। নির্মাণকাজে বরাবরই সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে দুবাই। ৭৭ মিটার দীর্ঘ এই অসাধারণ দেখতে মিউজিয়ামটি প্রযুক্তিগত ভাবে ভবিষ্যতের পৃথিবী কেমন হবে তার এক ব্যাখ্যা দিয়েছে। গোটা নির্মাণে কোনো স্তম্ভ নেই। রোবটের মাধ্যমে বিশেষভাবে তৈরি করা হাজারেরও বেশি টুকরো দিয়ে এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে।
৩০ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, স্তম্ভ-বিহীন কাঠামোটি তৈরি হয়েছে একটি অভিনব পদ্ধতিতে। এই মিউজিয়ামটি শুধু যে মিউজিয়াম তা কিন্তু নয়, এর মধ্যে থাকছে গ্লোবাল ইন্টেল্যাকচুয়াল সেন্টার। মিউজিয়ামের অন্দরে প্রবেশ করলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। 'ফিউচার হিরোজ' নামে একটি বিভাগ রয়েছে, সেখানে। সৃষ্টির মাধ্যমে উত্তরাধিকার রেখে যাওয়ার ভাবনা থেকেই এই নির্মাণকাজটি তৈরি। স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি বাইরের কাঠামোটিতে আরবি ভাষায় ক্যালিগ্রাফি করা রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে ''ভবিষ্যত্ তাদের জন্য, যারা সেটি কল্পনা করে নকশা তৈরি করতে পারে এবং কাজটি সম্পন্ন করে।''
শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশবিদ্যা, এবং স্বাস্থ্য, সুস্থতা, এবং আধ্যাত্মিকতা- ভবনের সাত তলায় মহাকাশ ভ্রমণ এবং জীবনযাত্রার ভবিষ্যত নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের জন্য নিবেদিত। উল্লেখযোগ্যভাবে, একটি সম্পূর্ণ ফ্লোর শিশুদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে তারা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলি অন্বেষণ এবং সমাধান করার সুযোগ পাবে।
কীভাবে ভিজিট করবেন, টিকিট ও সময়, বুকিং
ভবিষ্যতের আইকনিক মিউজিয়ামটি জুমেইরা এমিরেটস টাওয়ারের ঠিক পাশেই অবস্থিত, এবং জাদুঘরে পৌঁছানোর সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হল দুবাই মেট্রো নিয়ে। একজন একক ব্যক্তির জন্য প্রবেশ মূল্য Dh145 যেখানে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবং প্রবীণ দুবাই-নাগরিকদের জন্য প্রশংসামূলক টিকিটও পাওয়া যায়।
International Destinations: হাত খরচের পয়সাতেই হবে বিদেশভ্রমণের ইচ্ছাপূরণ!