পরমাণু এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে দেশটির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। এ পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালের তথাকথিত 'আগুন ও উন্মত্ততা' সময়ের প্রতিচ্ছায়া ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন 'গুরুত্বপূর্ণ নীতি বিষয়ক' আলোচনার জন্য দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর বৈঠক আহ্বান করেছিলেন।এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের 'শত্রুতাপূর্ণ' নীতির পাল্টা ব্যবস্থাগুলো কী হতে পারে তাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে কেসিএনএ জানিয়েছে।পলিটব্যুরো আস্থা তৈরির পদক্ষেপগুলো ফের বিবেচনার এবং 'সাময়িকভাবে স্থগিত সব কার্যক্রম ফের শুরু করার বিষয়টি অবিলম্বে পরীক্ষা করে দেখার' নির্দেশ দিয়েছে বলে কেসিএনএ জানিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া, ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক কৌশলগত অস্ত্র মোতায়েন এবং একক ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে ওয়াশিংটনের শত্রুতা ও হুমকি একটি 'বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছে গেছে' বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
"মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি মোকাবেলার জন্য আমাদের আরও ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত," নিজেদের সিদ্ধান্তে বলেছে পলিটব্যুরো। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের অনুরোধে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘর নিরাপত্তা পরিষদের বৃহস্পতিবার এক রুদ্ধদ্ধার বৈঠক ডাকার কথা, তার কয়েক ঘণ্টা আগে এসব পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সতর্ক করল উত্তর কোরিয়া।