আমরা- লকডাউন বা কোভিড-১৯ কে আমরা সারা পৃথিবীর মানুষ জন অভিশপ্তত হিসেবে দেখছি বর্তমানে এবং আমরা যদি বলি লকডাউন করোনা ভাইরাসেরর উপকারিতার কথা বলি তাহলে যাকে বলব সেই লোকে আমাকে আমাদেরকে কিন্ততূ মারতে আসবে বলবে এ আবার হয় নাকি পাগল ছাগল বলে গালি গালাজ দিতে পারে কিন্তুতু একটু ভেবে দেখুন প্রত্যেক জিনিসের এই একটা সাইড ইফেক্টট আছে যে জিনিস ভালো করে তার কিছু ক্ষতিকর দিক ও আছে যে জিনিস ক্ষতি করে আরেকটু ভালো থাকে আজকে আমরা করোনাভাইরাস উপকার সম্পর্কেকে জানব।
পরিবারকে টাইম দেওয়া: বর্তমানে আমরা এতই যন্ত্রনির্ভর হয়ে গিয়েছিলাম বা কাজে কর্মে ব্যস্ত ছিলাম যে নিজেদের পরিবারকে সময় দিতে একদম ভুলে গেছিলাম আমরা প্রায় সকলেই টাকার পেছনে ছোট ছিলাম একটা মানবিক আমাদের সবসময় টাকার পেছনে ছুটলে হয়না নিজের পরিবারকে টাইম দিতে হয় নিজের পরিবারকে সবসময় খেয়াল রাখতে হয় উপভোগ করতে হয় পরিবারের সাথে নানা রকম শেয়ার করতে হয় নানা রকম শান্তি অনুভব করতে হয় নানা রকম পরিবারের সবার সাথে টাইমটা ইনজয় করতে হয় সবাই একসাথে বসে মুভি দেখা ডিনার করা অনলাইন গেম খেলা বাড়িতে ড্রইং করা এসব প্রায় সবাই আমরা ভুলে গেছিলাম কিন্তু লকডাউন বা করনা ভাইরাসের ফলে আমরা প্রত্যেকেই প্রায় আর্থিকভাবে প্রায় ধ্বংসের মুখে চলে গেছে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তবু একটা কথা এই লকডাউন বা কোন ভাইরাসের ফলে আমরা কিন্তু আমাদের পরিবারকে টাইম দিতে পারছি আগে যেটা আমি পারতামনা এখন পরিবার সাথে এক মুঠো ভাত খেয়েও অনেক আনন্দ ভোগ করতে পারছি একটা কথা আমরা যতই টাকার পেছনে ছুটে না কেন পরিবারের পেছনে ছোটা আমাদের কর্তব্য সেটা আমরা ভুলে গেছিলাম তবে বর্তমানে লকডাউন এর ফলে আমরা আবার পরিবারকে বেশি বেশি টাইম দিতে পারছি।
ড্রইং করা: ড্রইং হল একটা মানসিক শান্তি পাওয়ার ও মানসিক শক্তি বাড়ানোর এক মহা ঔষধ ড্রইং করা আমরা প্রায় ভুলতে বসেছিলাম ড্রয়িং করলে যে হাজারো বেনিফিট পাওয়া যায় সেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানি কিন্তু আমাদের টাইম এর জন্য আমরা ড্রইং করতে পারছিলাম না আমরা প্রায় সকলেই নানা রকম কাজ কর্মে ব্যস্ত ছিলাম টাকা ইনকাম করার জন্য টাকা ইনকাম না করলে আমাদের সাংসারিক জীবন কোন দিন সুখী হবে না বেঁচে থাকতে গেলে টাকা মরতে গেলেও টাকা টাকা ছাড়া দুনিয়া ফাঁকা এই কথাটা আমরা সবাই জানি এবং মানি টাকার পেছনে ছুটি তবে বর্তমানে করোনাভাইরাস এর ফলে লকডাউন এর ফলে আমরা অনেক বেশি সময় পাচ্ছি এবং ড্রয়িং আমরা করছি ড্রইং জীবনে অনেক বড় শান্তি বয়ে নিয়ে আসে ছোট ছোট বাচ্চারা যখন ড্রইং করে তাদের মতো নিষ্পাপ মনোভাব আমাদের মধ্যে চলে আসে যখন আমরা রং পেন্সিল ড্রইং করতে লাগে ড্রইং করা এক মহা আনন্দ আনন্দ থেকে প্রত্যেকেরই উপভোগ করা উচিত এবং নিয়মিত করা উচিত তাহলে আমাদের মন অনেক শান্তিতে থাকে এই কাজটি লকডাউন এবং কর্ণ ভাইরাসের জন্য আমরা আবার করতে পারছি।
ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে খুনসুটি: আমরা আমাদের ছোট ছোট নিষ্পাপ বাচ্চাগুলো দের সাথে সময় কাটানো বা তাদের সাথে খুনসুটি করা আমরা প্রায় ভুলে গেছিলাম ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের সাথে সময় উপভোগ করা কত যে আনন্দের তা আমরা প্রায় সকলেই জানি তা কিন্তু আমাদের কাজকর্মের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যস্ততার জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে আমরা ওই খুনসুটি মনভাব গুলো উপভোগ করতে পারছিলাম না হয়তো টাইম অল্প পেতাম কিন্তু সেভাবে আদর করা হতো না এবং বুকে জড়িয়ে রাখলে রাখা আমাদের যেত না তবে বর্তমানে করোনাভাইরাস লকডাউন এর ফলে আমরা প্রায় অনেকেই আমাদের পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে খুনসুটি করার টাইম পাচ্ছি এবং ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে আদর করা সবই আমরা এখন করতে পারছি এবং লকডাউন এর ফলে আমরা কিন্তু আমাদের ছোটদের বাচ্চাদের অনেক বেশি টাইম দিতে পারছি এবং আমরা প্রায় সকলেই আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তবুও আমরা লকডাউন এর ফলে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে অনেক আনন্দ ভোগ করতে পারছি।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা: আমরা আমাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা মারার সময় কাটানো সেটা ভুলতে বসেছিলাম তার একটাই কারণ কি ছিল কাজের ব্যস্ততা আমাদের প্রায় প্রত্যেকেরই সংসার জীবনে কাজ ছাড়া জীবন চলবে ন টাকা পয়সা না থাকলে পেটে ভাত পাবে না এবং এবং সংসারী জন্য কাজ করা বা টাকা ইনকাম করা একদম দরকারই দরকার না হলে আমরা হাজারো সমস্যার সম্মুখীন হব কিন্তু লকডাউন করোনাভাইরাস এর ফলে আমাদের জীবন 100% চেঞ্জ হয়ে গেছে আমরা অনেকেই কাজকর্ম হারিয়েছি হাজারো সমস্যার মধ্যে পড়েছি সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি সেটা কথা সত্যি কিন্তু আমরা এই লকডাউন বা কোন ভাইরাসের ফলে আমাদের পুরাতন বন্ধু এবং যাবতীয় বন্ধু তাদের সাথে খুব সহজেই আনন্দ উপভোগ করতে পারছি যেটা আমরা লোকজনের আগো একদমই করতে পারছিলাম না বন্ধু বান্ধবের সাথে ইয়ারকি আড্ডা মারা হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ন বিষয়: পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই প্রত্যেক জিনিসের এই ভালো-মন্দ দিক থাকে আর একটা কথা আমরা অনেক সময় একবেলা খেয়ে অনেক সুখে থাকা যায় যদি আমাদের পরিবারে অশান্তি না থাকে কোন ভাইরাসের ফলে বা লকডাউন ফলে আমাদের আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত আমরা আমরা কাজকর্ম হারিয়েছি সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি হাজারো সমস্যায় পরছি তবু একটা কথা আমাদের পরিবার বন্ধু-বান্ধব কি আমরা সময় দিতে পারছি।
ধন্যবাদ।