পৃথিবীতে: যত ভেষজ উদ্ভিদ বা মহাষৌধ আছে তাদের মধ্যে শিয়ালকাঁটা সবথেকে বেশি ভেষজগুণে পরিপূর্ণ। শিয়ালকাঁটার প্রত্যেকটা অঙ্গ উপকারিতা পাওয়া যায় তাও আবার অনেক অনেক বেশি বর্তমানে শিয়ালকাঁটা চাহিদা সারা পৃথিবী জুড়ে আছে তবে দুঃখের বিষয় হয়তো প্রত্যেক দেশে পাওয়া যায় না কিন্তু ম্যাক্সিমাম দেশে শিয়ালকাঁটা দেখতে পাওয়া যায় বর্তমানে গবেষক এবং ডক্টর এর মতে পৃথিবীর আয়ুর্বেদিক ওষুধের একটি বড় অংশ শিয়াল কাঁটা থেকে তৈরি হয় তাছাড়াও সমস্ত এলোপ্যাথিক ওষুধ শেয়ালকাঁটার ব্যাপক চাহিদা আছে এবং বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে আমাদের মানুষের নানারকম অসুখ-বিসুখ এর জন্য।
রক্তের ক্ষমতা তৈরিতে: আমরা বর্তমানে অনেকেই রক্তশূন্যতা রোগে আক্রান্ত বা ভুগতে দেখি আমরা সবাই জানি আমাদের শরীরে আমাদের রক্তে হলো আমাদের মূল শক্তি আমাদের রক্তে যদি কমজোরি হয়ে যায় তাহলে আমরা নানান রোগে এবং নানা রকম ভাইরাসে খুব সহজে আক্রান্তত হয়ে যেতে পারি বা হয় এবংং আমাদের শরীর রক্তে যদি শক্তিশালী হয় তাহলে আমাদেরকে কোনরকম রোগে এবং কোনরকম ভাইরাসে সহজে আক্রান্ত করতে পারবে না বাাা আমাদেরকে অ্যাটাক করেও ভাইরাসকে বিফল হয়ে যাবে। আমরা যদি নিয়মিত শিয়ালকাঁটার রস সেবন করি তাহলে আমাদের রক্ত সব সময় শক্তিশালী থাকবে কোনরকম ভাইরাস আমাদেরকে এটা করতে পারবে না অ্যাটাক করলো বারবার বিফল হয়ে ফিরে যাবে। আমাদের শরীরে রক্তের তেজ এবং ক্ষমতা সবথেকে কার্যকরী হলো আমাদের নিয়মিত এক সপ্তাহ ধরে সকালে খালি পেটে শিয়ালকাঁটা গাছের রস সেবন করা তাহলে আমাদের রক্তের ক্ষমতা হাজার গুণ বেড়ে যাবে এবং আমাদেরকে প্রতিরক্ষা করবে। 24 ঘন্টা এবং প্রত্যেক সেকেন্ড।
নতুন রক্ত তৈরিতে: তাহলে বা আমরা সকলেই জানি রক্ত আমাদের শরীরে কতটা প্রয়োজন আমারা একটা কথাই বলতে পারি আমরা আমাদের শরীরে রক্তের উপর নির্ভর করে আমাদের শরীর নানারকম ভাইরাসে এবং নানা রকম রোগে আক্রান্ত হবে কিনা আমরা জানি আমাদের রক্তে তেজ থাকলে আমাদের শরীরে সহজে কোন রোগ বালা বাসা বাঁধতে পারে না তবেে বর্তমানে অনেকেরই রক্তশূন্যতা রোগ দেখা দেয় ডিটেকটিভ বিশাল মারাত্মক ধরনের রোগ এই রোগ দেখা দিলে শরীরে প্রচন্ড রক্তের প্রয়োজন হয় এবং অনেকেই নানারকম কাজ কর্মের ফলে শরীরের স্বাভাবিক নতুন রক্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েে কিন্তু আমরা যদি নিয়মিত শেয়ালকাঁটার রস খায়় তাহলে আমাদের শরীরেে 7 দিনের মধ্যে যাবতীয়় রক্তের ঘাটতি পূরণ করে দেয় এবং আমাদের শরীরকে নতুন রক্ত তৈরিতে সবথেকে বেশি সাহায্য করে।
দেহের ক্ষয়পূরণে: আমরা যেমন সারাদিন নানারকম কাজকর্ম বা খাটনির ফলে আমাদের শরীর অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে যায় ক্ষতি হয় বা ক্ষয়ীভূত হয় তেমনি আমাদের শরীরের ভেতরে প্রত্যেক অঙ্গ বা অংশগুলো প্রতিনিয়ত কাজকর্ম করে চলেছে আমাদের শরীরের ভেতরে কাজ কর্ম করতে করতেই আমাদের শরীরের অঙ্গ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেনা আমাদের নানা রকম অসুবিধা দেখা দেয় আমরা যদি নিয়মিত শিয়ালকাঁটা রস সেবন করি তাহলে আমাদের শরীরের ভেতরে প্রত্যেক অঙ্গ স্বাভাবিক কাজকর্ম করবে প্রতিনিয়ত।
পেটের যাবতীয় রোগে: শিয়াল কাঁটা পেটের প্রত্যেক রোগের সবথেকে বড় মহৌষধ অনেকেই লিভারের সমস্যায় জর্জরিত জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায় লিভারের সমস্যার জন্য আমরা খাদ্য খায় সেটা ঠিকমতো হজম না হলে আমাদের শরীরে পুষ্টি হবে না এবং আমাদের শরীর সঠিক ভাবে চলবে না শরীর দুর্বল লাগে ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমরা যদি নিয়মিত শেয়ালকাঁটার সেবন করি তাহলেেে আমাদের লিভার বা যকৃৎ সুস্থভাবে কাজ করবে এবং আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়া়িয়ে তুলতে সাহায্য করে লিভার এর কার্যকারিতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে সাহায্যয করে শিয়ালকাঁটা রস শিয়ালকাঁটা রসে অবস্থিত এসিডগুলো আমাদের পাচনতন্ত্রকে অনেকাংশে সাহায্য করে আমাদের লিভারকে অনেক সুস্থ ও সতেজ সবুজ রাখতে সাহায্য করে।
আমাশা নাশক: বর্তমানে অনেকেই আমাশা সমস্যায় জর্জরিত এটি একটি খুব কঠিন ব্যধি কোনরকম মেডিসিনে এটাকে নির্মূল করা অসম্ভব সেটা বৈজ্ঞানিক দ্বারা প্রমাণিত তবে গবেষকরা বলছে শিয়ালকাঁটা গাছের রস সেবন করলে আমাশা চিরতরে পালিয়ে যাবে তবে বর্তমানে আমাশা অনেক রকমের হয় সাদা অংশ এবং লাল আমাশা বা রক্ত আমাশা প্রকোপ বর্তমানে ব্যাপক হারে দেখতে পাওয়া যায় এই দুই আমাশা মানুষকে সবথেকে বেশি সমস্যার মুখে ফেলে দেয় এবং আমরা অনেকেই আমাশা নিয়ে অনেক প্রবলেম এর মধ্যে আছি কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত এক সপ্তাহ শিয়াল কাটা গাছের রস সেবন করেন তাহলে আমার চির তরে আপনার শরীর থেকে হারিয়ে যাবে।
সেবনের নিয়ম: শিয়ালকাঁটা গাছের রস সেবন করার নিয়ম হলো গাছ টাকে ঠেটলিয়ে রস বার করে নিয়ে আপনি প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে তিন থেকে চার চামচ মতো বা হাফ কাপ মতো হয় যেন, তারপর আপনি সেবন করে নিবেন যদি আপনার শুধু রস খেতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি শিয়ালকাঁটা গাছের রসের সাথে দু'চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার যতটা সম্ভব আপনি খালি গাছের রসটা খাওয়ার চেষ্টা করবেন অসুবিধা হলে তবে আপনি মধু বা অন্য কিছু মিশাবেন আপনি নিয়মিত এক সপ্তাহ যদি খেতে পারেন তাহলে এর ফল আপনি হাতে হাতে দেখতে পাবেন শরীর যাবেতো ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে শরীর সবসময় চনমনে থাকবে সবসময় শান্তি অনুভব করতে পারবে।
thanks.