আপনি কি জানেন সূর্যের আলোর উপকারিতা? না হলে জেনে নিন ঝটপট। এবং অন্যান্য সবাইকে এবং আপনার বন্ধু বান্ধব দের জানান যেন তাড়াও এই মহা মূল্যবান উপকার টা জানতে পারে।
![]() |
আমাদের ধারণা: আমরা হয়তো অনেকেই জানি আবার অনেকে জানিনা। সূর্যের আলো আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি প্রস্তুত করে। ভিটামিন হাড়কে খাবার থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ করে নিতে সাহাজ্য করে। আমাদের হাড়ে ক্যালসিয়াম শোষিত হলে হাড় মজবুত হয় এবং আমাদের হাড় ক্ষয় রোধ পায়। তাই সূর্যের আলো ছোট শিশু ও বয়ষ্কদের হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী স্বচ্ছন্দে বলা যেতে পারে।
ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি ক্ষয় রোগীর জন্য সূর্যের আলো উপকারী বলাই যায়। আমরা হয়তো অনেকেই জানি আমাদের শরীরের ভিটামিন-ডি মূলত কোথায় থেকে আসে আমরা যতই ভাল-মন্দ খাবার খায় না কেন খাবার থেকে কিন্তু আমরা ভিটামিন পাই না তাহলে কোথা থেকে সেটা আমরা প্রায় সকলেই জানি ভিটামিন ডি এর মেন উৎস হল সূর্যের আলো বা সূর্যের উত্তাপ বা সূর্য আমরা সূর্য থেকে সরাসরি ভিটামিন গ্রহণ করি এবং কিভাবে গ্রহণ করি আমরা জানি যে আমরা যখন সূর্যের আলোর মধ্যে যায় বা সূর্যের আলোয় পড়ি তখন সূর্য আমাদের গায়ে পড়ে এবং আমাদের ত্বক ওই আলো থেকে ভিটামিন করে নেয় এবং আমাদের দেহে সঞ্চয় করে রাখে এবং আমরা অনেক সুস্থ থাকি তাই বলব নিয়মিত সকালের সূর্যের আলো গায়ে লাগানো তাহলে ভিটামিন ডি এর অভাব কোন সময় হবে না।
সূর্যস্নান: প্রতিনিয়ত বা নিয়মিত সূর্যস্নান করা ভিটামিন ডি কোন রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।একটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে যেসব ভিটামিন ডি কম জনিত রোগী নিয়মিত সূর্যের আলোতে যায় তারা ভিটামিন ডি রোগীদের থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি সুস্থ্ থাকে গবেষণায় দেখা গেছে। আমরা জানি নিয়মিত সূর্য চান করলে আমাদের শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকে আমরা কি করি হয়তো একদিন সূর্য স্নান করলাম তারপরে আর অনেকদিন আর কোন করলাম না তখন আমাদের এইভাবে ভিটামিন ডি পাওয়া কিন্তু বঞ্চিত হয়ে যায় তাই বলব আপনি নিয়মিত প্রত্যেকদিন সকালে বা দু একদিন পরপর সকালে সূর্য সেন করবেন আমরা হয়তো অনেকেই সব সময় থাকি ভাবে যে আমার তালতো বাবা হওয়া দরকার নাই কিন্তু আসল কথা হচ্ছে ভিটামিন সকালে সূর্য স্নান করতে হবে তাহলেই পাওয়া সম্ভব।
নিদ্রার জন্য: আমরা সবাই সকালে সূর্যের আলো চোখে পড়লেই বিরক্ত হয়ে যায়। মনে হয় যে ঘুমটাই মাটি ।তাহলে জেনে রাখুন, এই সূর্যের আলোই কিন্তু রাতের বেলায় আপনার ঘুম আনতে সহায়ক। টানা কয়েকদিন সূর্যের মুখ দেখতে না পারলে এক পর্যায়ে আপনি আক্রান্ত হবেন অনিদ্রা রোগে বা ঘুম না হওয়া রোগে। আমরা কমবেশি প্রায় সকলেই অনিদা রোগে ভোগে এবং খুবই প্রবলেম ফেস করি আমরা হয়তো অনেকেই জানি না নিয়মিত সূর্য গ্রহণ করলে আমরা এই অনিদ্রা রোগ থেকে মুক্তি পাবো এবং আমরা সকালে প্রায় জানি আমাদের ঠিকমতো ঘুম না হলে আমাদের শরীর কিন্তু সবসময় খারাপ থাকবে এবং সুস্বাস্থ্য থাকবে না ভূমি হলো সুস্বাস্থ্যের মেন ওষুধ জানা পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেনা তাদের কিন্তু ভেতরে কিন্তু অনেকে খারাপ থাকে আর যারা পর্যাপ্ত ঘুমায় তাদের শরীর কিন্তু ভেতরে ওপরে দুই দিকেই ভালো থাকে তাই ঘুম ভালো করতে শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত এভাবে চলুন।
হরমোন: সূর্যের আলো আমাদের চোখে গেলে চোখ থেকে মস্তিষ্কে একটি সংকেত যায়। এই সংকেতটি ঘুমে সাহায্যকারী হরমোন মেলানোটিন তৈরীতে পরোক্ষভাবে সহায়তা করে। ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে মেলানোটিন এর উপস্থিতির কারনে রাতের ঘুম ভালো হয় আমাদের সবার। আমরা কমবেশি সবাই জানি আমাদের শরীরের নানা রকম হরমোনের সমবায়ে গঠিত একটা হরমোনের একটা কাজ এবং এই হরমোন গুলো সঠিক ভাবে গঠিত না হলে আমরা নানা সমস্যায় পড়ে যাব আর এই হরমোনের সঠিকভাবে কাজ করতে আপনারা নিয়মিত এভাবে চলবেন।
বিষন্নতা: এবং বেশ কিছু গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে সূর্যের আলো বিষন্নতা কাটাতে অনেকটাই সহায়তা করে। কয়েকদিন সূর্যের মূখ না দেখলে অনেক মানুষই মানসিক বিষন্নতায় ভোগা শুরু করে। সূর্যের আলো আমাদের মস্তিষ্কের প্রাকৃতিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট বাড়িয়ে মানসিক বিষন্নতা দূর করে এবং মনকে সুন্দর সতেজ রাখে।