আমাদের- মনে মাঝে মাঝে একটা প্রশ্ন আসে যে কেন আমরা সকলেই একইভাবে সুখী কেন হতে পারি না। বা আমরা সকলেই একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে দিও হয়তো আমাদের কাজকর্ম অনেক উন্নতি সবকিছুই হয় কিন্তু আমাদের মনের ভেতরে সুখ-শান্তি সেটা কিন্তু আসে না বা সুখী হতে পারে না। তবে সম্প্রতি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে এর জন্য অনেকটাই কিন্তু আমাদের জিনগত পদ্ধতি এর জন্য দায়ী। আমরা আজকে দেখবো কি কারনে আমরা সবাই সুখী হতে পারে না বা কেন আমরা সবাই সুখী হয় না সকালের মতো বা সবার মত কেন।
জীবনটা যেন নরক: এবং আমরা আমাদের আশেপাশে আমরা দেখতে পাই কেউ অনেক সুখে আছে সব সময় হাসি হৈ-হুল্লোড় এবং আশাকে পোশাকে সবসময় ইসমার্ট আবার অনেকেই আছে টাকা পয়সা অনেকেই আছে পোশাক-আশাক খাওয়া-দাওয়া সেগুলো সবই ভালো কিন্তু মনের মধ্যে ওই হাসি সেগুলো কিন্তু নেই বললেই চলে। তারপরও মনে হয় জীবনটা স্বর্গের মতো আবারো অনেকেরই মনে হয় জীবনটা নরক এর থেকেও খারাপ এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়। আসলে জীবন মানে ধৈর্য আমরা একটা কথা মনে রাখা উচিত আমাদের জীবনটা একটা স্কুল কলেজের পরীক্ষার এক্সাম না একবার আমি ফেল করে গেলাম আমি পাশ করে গেলাম আমার শেষ হয়ে গেল তা বললে তো হবে না জীবনটা হচ্ছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম সংগ্রাম করে জীবন অতিবাহিত করার নামই হচ্ছে জীবন তবে আমরা অনেকেই সংগ্রাম করে অনেক সময় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না বা উন্নতি করতে পারি না তখন আমরা ভাবি যে না জীবনটা আমাদের নরক এ জীবনে কিছুই করার নেই মানসিকতা আমাদের অনেকেরই মনে কাজ করে ওই জন্য আমরা বারবার পেয়েছি যায় এগোতে পারে না জীবন মানে হচ্ছে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে শেষ লক্ষ্যে পৌঁছানো।
জিনগত বিন্যাস: তবে সাম্প্রতিককলে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে সুখী হওয়াটা নির্ভর করে আমাদের জিনগত বিন্যাস এর উপর অনেক সময় আমরা যেটা করতে চাই সেটা হয়তো করতে পারিনা। ওই জন্য অনেকেই মানে অবসাদে ভোগে ভাবে যে আমি কিছুই করতে পারবোনা ঐজন্য নিজেকে অসুখী ভাবে ।সমস্ত সুখের মূল উপাদান যেটি আমরা বলি টাকা পয়সা তাহলে কিন্তু অনেকটা ভুল বলা হবে। আমাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা জিন গঠন লক্ষ্য করা যায় দেখা যায় বর্তমানকালে বৈজ্ঞানিকরা বলতে চাচ্ছিি যে মানুষ সুখীী হতে পারে নাা অসুখ হতে পারে সেটা নির্ভর করছে আমাদের শরীরের মেন যন্ত্র জিন এই জিন বিন্যাস এর ফলে আমাদের একেক জনের জীবন এক এক রকম হয় কেউ খুব সহজেে সাফল্য কেউ সাফল্য পেতে দেরী হয় কেউ আবার সাফল্যের মুখ দেখতে পায় না এটা বৈজ্ঞানিকরা বলছে আমাদের জিন গঠনের ফলে এটা হচ্ছে। তবে বৈজ্ঞানিকরা বলছে জিনগত পরিবর্তন করা সম্ভব সেই লক্ষ্যেে বৈজ্ঞানিকরা অনেকটাই এগিয়ে গেছে এবং জিন গঠন পরিবর্তন করা সম্ভববরান।
সুখ একটা অনুভূতি: তবে আমাদেরকে এটাও বোঝার দরকার আছে বা আমাদের জানার দরকার আছে। সুখ একটা অনুভূতি এটাকে সহজে কিন্তু মাপা যায়না । আমরা একটা এক্সামে পরীক্ষা দিলাম এবং সেখান থেকে আমরা 100 মধ্যে 100 পেয়ে ফার্স্ট হয়ে গেলাম তাহলে কি আমরা সুখী হয়ে গেলাম। সুখী এটা কিন্তু একটা সামরিক একটা পরীক্ষা না এটা সারাজীবনের একটা পরীক্ষা ওই জন্য হয়তো অনেকেই সফল হতে পারে না বা সুখী হতে পারে না। সুখ যেহেতু একটা অনুভূতি তাই এটাকে সাধারণভাবে মাপা বা বিচার করা খুবই কঠিন আমাদের অনেকেরই অনেক কিছু থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেক ভর্তির জন্য আমরা সুখী হতে পারে না আমরা সুখ অনুভব করতে পারি না সব সময় খারাপ কিছু অনুভব করি ওই জন্য আমরা সুখী হতে পারে না আমরা অনেকেই আছি আমরা ভাল অনুভব করি সুখী হওয়ার জন্য কিন্তু পরি পার্শিক অর্থনৈতিক সামাজিক কারণে আমরা অনেক সময় সুখী হতে পারে না তবে একটা কথা বলা যায় নিজের অনুভূতি থেকে যেতে আমরা চেঞ্জ করে সুখী হতে পারি তাহলে অনেকটাই ভালো।
সার্বিক পরিস্থিতি: বর্তমানে গবেষণায় উঠে এসেছে সুখী না হওয়ার কারণ জিনগত বিন্যাস, এই কারণ তাছড়াও সুখী না হওয়ার কারণ পর্যাপ্ত টাকা পয়সা, এবং আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি সার্বিক দেশের অচলাবস্থা, কাজকর্মে অবনতি আমাদের দিনের পর দিন অবসাদের দিকে ঠেলে দেয় এবং আমরা সেই আবসাদ কাটিয়ে উঠতে পারিনা তখন আমরা সুখী হতে পারিনা। আমাদের সকলেই একটা কথা জানার দরকার শুধু আমি ভালো থাকলে হবে না আমাদের চারিপাশটা আমরা যেখানে থাকি সেটার দিকে নজর দেয়া দরকার চারপাশটা একটু ভালো রাখার চেষ্টা করা উচিত সেটা হয়তো আমরা পারবোনা আমরা অনেক কি সঙ্গে নিয়ে সেটা করতে পারি চারিপাশ ভালো থাকলে আমাদের এলাকা চারিপাশ ভালো থাকলে আমাদের আমাদের এলাকায় চারিপাশ ভালো থাকলে আমাদের সকালের পক্ষে মঙ্গল এবং সকলেই অনেক ভালো থাকতে পারি।
পরিশেষে: জীবন মানে যন্ত্রনা, যেটা আমি পায়নি সেটাকে নিয়ে না ভেবে, যেটা আছে সেটাকে নিয়ে সুখে থাকা।
ধন্যবাদ।